সম্পত্তির লালসায় তিনশত ফলজ কলাগাছ কেটে টুকরো - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৪

সম্পত্তির লালসায় তিনশত ফলজ কলাগাছ কেটে টুকরো

সম্পত্তির লালসায় তিনশত ফলজ কলাগাছ কেটে টুকরো
সম্পত্তির লালসায় তিনশত ফলজ কলাগাছ কেটে টুকরো


বাশঁখালী প্রতিনিধি:

সম্পত্তির লালসায় পড়ে বাঁশখালীতে উত্তর জলদী কাজীর পাড়ার মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র দিনমজুর কৃষক মোঃ হারুন এর তিন শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।গত ২১ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে উত্তর জলদী কাজীর পাড়ার কৃষক হারুন এর কলাবাগানে এ ঘটনা ঘটে।



কৃষক মোঃ হারুন বলেন, আমি একজন দিনমজুর কৃষক দিনে ইনকাম করে দিনে খাই আমার মৌরশী সম্পত্তির উপর লোভে পড়ে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের এলাকার মৃত কৃষ্ণ মোহন রুদ্র এর পুত্র অঞ্জন রুন্দ্র (৩৮) ও তার আত্মীয় স্বজনরা আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনের সম্বল প্রায়ই তিনশত এর বেশি ফলজ কলাগাছ কেটে ফেলেন এতে আমার ১লক্ষ ৭০হাজার টাকা ক্ষতি হয় এবং পরে আমার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে ঢুকে মারধর করেন এসময় আমার ছোট ভাইয়ের রিক্সা বিক্রির ৭০হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর ৩০হাজার টাকা দামের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন। 


এ ঘটনায় কৃষক মোঃ হারুন বাদী হয়ে অঞ্জন রুন্দ্র (৩৮)পিতা- মৃত কৃষ্ণ মোহন রুদ্র, সোমারন রুদ্র (৫৫), দুপুর রুদ্র, পিতা-মৃত ঐ, রিনা রানী রুন্দ্র,স্বামী-মৃত কৃষ্ণ মোহন রুদ্র, গীতা রুদ্র, স্বামী- অরুন রুদ্র, জিনিকা রানী রুদ্র, স্বামী- চন্দন কান্তি ,ডেজি রুদ্র,স্বামী নানা রুদ্র ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত রেখে এবং এ ঘটনায় ৫জনকে সাক্ষী করে ২৩ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।


ঘটনার বিস্তারিত স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তাদের উল্টো প্রশ্ন কলা গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা? ফলজ এ কলা গাছের কি দোষ ছিল? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন প্রভাবশালীদের আক্রমণের লালসার স্বীকার কৃষক হারুন মিয়ার পরিবার।


সরজমিনে দেখা যায়, কৃষক মোঃ হারুন তার বাড়ির পাশেই ১কানি জমিতে প্রায় তিন শতাধিক কলা গাছ রোপন করেন। অনেক গাছে কলা ধরতে শুরু করেছে। আর কিছুদিন পরই কলা বাজারজাত করার কথা ছিল তার। গাছগুলো কেটে টুকরো করে ফেলায় বাজারজাত করা হলো না আর।


এ বিষয়ে অভিযুক্ত অঞ্জন কান্তি রুদ্রের সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তুলেননি।।


এ বিষয়ে বাঁশখালী বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত শুধাংশু শেখর হালদার বলেন, 'কলাবাগানের গাছ কেটে ফেলার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে অঞ্জন রুন্দ্র ৯৯৯ এ কল দিয়েছেন আমাদের এসআই মংতুই হ্লা গিয়েছিলেন তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানবেন। 


এ বিষয়ে এসআই মংতুই হ্লা বলেন ৯৯৯এ অঞ্জন এর কল পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি ওখানে কলাগাছ কেটে পেলেছেন অঞ্জন রুদ্র বলেছন ওনার কলাবাগান। আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে কৃষক মোঃ হারুন বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।


Post Top Ad

Responsive Ads Here