রাজবাড়ীতে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে গণপিটিশন - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, জুন ২৮, ২০২৪

রাজবাড়ীতে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে গণপিটিশন

 

রাজবাড়ীতে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে গণপিটিশন
রাজবাড়ীতে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে গণপিটিশন 

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজবাড়ীর বানিবহ ইউনিয়নের স্থানীয় বাসীন্দা না হয়েও বানীবহের নাম ঠিকানা ব্যাবহার করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত থেকে এলাকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনে মনিরুজ্জামান রুবেল একজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন মোছাঃ শেফালী আক্তারের নিকট ওই ইউনিয়নের ২২৫ জন ব্যাক্তি গণস্বাক্ষর করেছেন। 


গণস্বাক্ষরের প্রেক্ষিতে ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের নিকট প্রত্যায়ন প্রদান ও ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেছেন বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যনা শেফালী আক্তার । ২৮ জুন এ বিষয়ে কথা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান মোছাঃ  শেফালী আক্তার । 


৪ই জুন বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের লিখিত প্যাডে ওই প্রত্যায়ন পত্রে উল্লেখ করা হয় মোঃ মনিরুজ্জামান রুবেল এন আই ডি নং- ১৯৮৬২৬৬৯৬৪০৬০০০৪১২, পিতা মোঃ বায়েজ উদ্দিন মাতা-রোকেয়া , সে বর্তমানে বানীবহ ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যাবহার করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত আছে। আমি তাকে ব্যাক্তিগতভাবে চিনিওনা জানিওনা । আমার জানামতে উপরোক্ত ব্যাক্তি'র বানিবহে কোন স্থায়ী ঠিকানা নাই। সে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে অত্র ইউনিয়নের আইনশৃঙ্খলার অবনতি করছে। ' 


এ বিষয়ে বানীবহের চেয়ারম্যান মোছাঃ শেফালী আক্তার বলেন,  মনিরুজ্জামান রুবেল একজন প্রতারক। মোবাইলের মাধ্যমে সম্পর্ক করে বানীবহ ইউনিয়নের মৃত মজিদ শেখের মেয়ে মোছাঃ রেখার সাথে বিয়ে হয় রুবেলের। এরপর আতœীয় স্বজন অ্যামেরিকায় থাকেন এমন কথা বলে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মোঃ মনিরুজ্জামান রুবেল নামের এই প্রতারক । 


এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৫ই ডিসেম্বর  রাজবাড়ী সদর থানায় পেনাল কোড ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। রাজবাড়ী সদর থানার মামলা নং- ৩১ । 


 অভিযোগ দায়ের করেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের মহিষবাথান এলাকার মৃত আবুল হোসেন খানের ছেলে মোঃ আলী হোসেন খান। পরে বানীবহের বার্থা এলাকার মর্জিনার বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করেন রাজবাড়ী সদর থানার এস আই আবুল হোসেন  । পরে জেল থেকে বের হয়ে স্থানীয় আমজাদ ও বিলকিস নামে দুইজনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা দিয়েছে সেই মনিরুজ্জামান রুবেল। 


বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃশেফালী আক্তার বলেন, আমার এলাকায় এসে এলাকার ভাবমূর্তী ক্ষুণ্ণ করছে বিধায় আমি পুলিশ সুপারের কাছে প্রত্যায়ন দিয়েছি। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ভালো রাখা , নিরাপদ রাখা আমার দায়ীত্ব। আমি চাই এ প্রতারকের বিচার হোক। শুনেছি এই মনিরুজ্জামান রুবেল ঢাকার যে ঠিকানা ও এন আই ডি কার্ড ব্যাবহার করছে সেটিও ভুল। আমার কাছে সেই কাগজ রয়েছে। তার ব্যাবহার করা আইডিকার্ড নির্বাচন কমিশনের কাগজে দেখা গেছে তার নামে কোন আইডি কার্ড নাই। তিনি আরোও বলেন ,এমন রোহিঙ্গা প্রকৃতির লোকজন যেন আমার ইউনিয়নে কোন অপকর্ম চালাতে না পারে সে জন্য পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে আমি প্রত্যায়ন পত্রটি দিয়েছি। পুলিশ সুপার আমার বিষয়টি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।'



Post Top Ad

Responsive Ads Here