বরগুনায় ৯টি প্রাণ নাশের পর টনক নরেছে উপজেলা প্রকৌশলীর
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
নয় প্রাণ নাশের পরে টনক নরেছে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের। মঙ্গলবার তিনি আমতলী উপজেলার ২০ টি অতি ঝুকিপুর্ণ সেতুতে সতর্কীকরণ নোটিশ বোর্ড ও বেড়া দিয়েছেন। তিনি ভেঙ্গে যাওয়া হলদিয়া হাট সেতুতেও নতুন করে নোটিশ ও বেড়া দিয়েছেন।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার ২০০৭-০৮ অর্থ বছরের পরে ২০ টি লোহার সেতু নির্মাণ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ওই সেতুগুলো নির্মাণে অনিয়ম ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সেতুগুলোতে রেলপাটির বীম বসানোর কথা থাকলেও ঠিকাদারগণ নরমাল বীম বসিয়ে সেতু নির্মাণ করেছেন। ওই সেতুগুলোর ঠিকাদার ছিলেন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধাসহ বেশ কয়েকজন। ওই সময় তারা প্রভাব খাটিয়ে দায়সারা সেতু নির্মাণ করে টাকা তুলে নেয়। অল্প দিনের মধ্যেই ওই সেতু গুলোর লোহার বীম অকেজো হয়ে যায়। ফলে সেতুগুলো অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন:৩জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে আড়াই লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা
গত ১৬ বছরে ওই সেতুগুলো ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় থাকলেও উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের নজরে আসেনি। গত শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে চাওড়া নদীর ওপর নির্মিত চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের সংযোগ হলদিয়া হাট সেতুর মাঝখান ভেঙ্গে মাইক্রোবাস পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কনে মরিয়ম বিল্লাহ হুমায়রার মামা বাড়ীর ৭ জন ও বাবার বাড়ীর ২ জন নিহত হয়। নয় প্রাণ নাশের পর মঙ্গলবার তিনি উপজেলার ২০ টি ঝুকিপুর্ণ সেতুতে সতর্কীতরণ নোটিশ টানিয়েছেন এবং বেড়া দিয়েছেন।
কাউনিয়া গ্রামের জিয়া উদ্দিন জুয়েল, নজরুল ইসলাম ও দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের নাশির উদ্দিন বলেন, নয়টি প্রাণ নাশের পরে টনক নরেছে উপজেলা প্রকৌশলীর। তিনি সেতুর মাঝখানে পিলার গেড়ে দিয়েছেন। যাতে যানবাহন চলাচল করতে না পারে। এই পিলারটা আগে গেড়ে দিলে নয়টি প্রাণ ঝড়ে যেতো না। তার অবহেলার কারনে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার ২০ টি অতি ঝুকিপুর্ণ লোহার সেতুতে সতর্কীকরণ নোটিশ ও বেড়া দেয়া হয়েছে। আগে কেন সতর্কীকরণ নোটিশ ও বেড়া দেননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগেই নোটিশ টানিয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু স্থানীয়রা সরিয়ে ফেলেছেন।
বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ঝুকিপুর্ণ সেতুগুলোকে সতর্কীকরণ নোটিশ ও বেরিকেট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি স্থায়ীভাবে বেরিকেট দেয়ার যাতে ভারী যানবাহন সেতুতে না উঠতে পারে।