আদমদীঘিতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

শুক্রবার, জুন ২৮, ২০২৪

আদমদীঘিতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু

 

আদমদীঘিতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু
আদমদীঘিতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :

বগুড়ার আদমদীঘিতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কায়সার আলী (৬৪) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত বৃদ্ধ উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির অন্তাহার গ্রামের মৃত গরীবুল্লাহর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ওই গ্রামের মসজিদের গেট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর মাথায় ক্ষত হয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরন হয়।


পুলিশ ও নিহতের পারিবার সূত্রে জানাগেছে, নিহত বৃদ্ধ কায়সার ওই গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে দিন মজুরের কাজ করতেন। বুধবার রাত ১২টায় বিদ্যুৎ চলে গেলে কায়সার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আম কুড়িয়ে নিয়ে তার ছেলের বউকে রাজুফা বেগমকে ডাকতে থাকেন। ডাকে সারা দিয়ে রাজুফা তার শ^শুরকে আমগুলো নিজ হেফাজতে রাখতে বলে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর কায়সার আম কুড়াতে আবারো বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। গভীর রাতে র্দ্বুৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কায়সারের মাথায় ক্ষত হয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়। 


অন্তাহার দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম আব্দুস সামাদ জানান, মোয়াজ্জিন ছুটিতে থাকায় তিনি ফজরের আজান দেওয়ার জন্য মসজিদে যান। এসময় মসজিদের দক্ষিণ পাশের গেটের সামনে তিনি কায়সারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি নামাজে আসা মুসল্লীদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে আদমদীঘি সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ওমর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।  

 

ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আশিকুজ্জামান ছোটন জানান, আমাদের দেখা গ্রামে লোকটির কোনো শত্রæ নেই। ধরনা করা হচ্ছে, রাতের বেলা কোনো দুষ্কৃতিকারির অপকর্ম দেখে ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রæত আইনের আওতায় আনার জন্য তারা জোড় দাবী জানিয়েছেন। 


আদমদীঘি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ময়েন উদ্দীন জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি ধরনের অস্ত্র দিয়ে এবং কারা, কিভাবে তাকে হত্যা করেছে সেটির তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।