কাউখালীতে বিআরডিবি অফিসের জনবল সংকট, কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত জনগণ
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালীতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) অফিসের জনবল সংকট থাকার কারণে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী জনগণ।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, অফিসের কর্মকর্তা, সহকারী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন শাখার ৩৩ টি পদ থাকলেও আছে মাত্র ১৪ জন। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সহ ১৯ পদ খালি রয়েছে, ফলে কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছে না বিআরডিবি অফিস।
২০২২ সালের ১ নভেম্বর মোহাম্মদ নূর হোসেন চৌধুরী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ার পর আর কোন কর্মকর্তা কাউখালীতে যোগদান করেনি, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে অতিরিক্ত কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা,সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছেন।
বর্তমানে জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মনজুর এলাহী অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। জনবল সংকট থাকার কারণে মাঠ পর্যায়ে কোন পরিদর্শক না থাকায় ঋণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। সমিতির সদস্যরা ঋণ পরিশোধ করেও নতুন কোন ঋণ পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে সমবায় সমিতির উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কচুয়াকাটি ম্যানেজার সাবেক ইউপি সদস্য শ্যামল কৃষ্ণ কর বলেন, এক বছর পূর্বে লোনের টাকা পরিশোধ করে ও নতুন কোন লোন পাচ্ছিনা ফলে আমাদের সমিতির কার্যকলাপ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ
ব্যাপারে সদ্য বিদায়ী সাবেক বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ খান বলেন, বিআরডিবি কৃষকদের জন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কিছু কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও জনবল না থাকার কারণে বিআরডিবি অফিসের কার্যকলাপ বিলুপ্তির পথে। এখন আর কৃষকরা ক্ষুদ্রঋণ ও কৃষি সরঞ্জাম কৃষকরা পাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন লোন চাইলে লোন দিতে চায় না, তারা বলেন লোন আদায় করবে কে? এ ব্যাপারে কাউখালীতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন কর্মরত পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মনজুর এলাহী বলেন, জনবল সংকট থাকায় আমরা ভুক্তভোগীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। মাঠ পর্যায় কোন পরিদর্শক না থাকায় ঋণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
পিরোজপুর জেলার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বিআরডিবির উপ-পরিচালক বিএম কামরুজ্জামান জানান, কাউখালীতে জনবল সংকট সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক এবং লিখিতভাবে অবগত করেছি ।আশা করি কিছুদিনের ভিতরে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বার্তা প্রেরক
সৈয়দ বশির আহম্মেদ
পিরোজপুর।