সালথায় পরকীয়ার জেরে গণধোলাই খাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিস্কার - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুলাই ১১, ২০২৪

সালথায় পরকীয়ার জেরে গণধোলাই খাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিস্কার

সালথায় পরকীয়ার জেরে গণধোলাই খাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিস্কার
সালথায় পরকীয়ার জেরে গণধোলাই খাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিস্কার


শরিফুল হাসান,সালথা(ফরিদপুর):

সংবাদ প্রকাশের পর পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে গণধোলাই খাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সবুজ সরদারকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত সবুজ সরদার ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি ছিলেন।


বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 


প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকালাপের জড়িত থাকার অভিযোগে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. বুলবুল হাসানকে (সবুজ সরদার) তার সাংগঠনিক পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হলো। সেই সাথে স্থায়ীভাবে তাকে বহিস্কারের জন্য ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির নিকট প্রেরণ করা হলো।


বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, সবুজ দলীয় আদর্শের তোয়াক্কা না করে নানা অপকর্ম ও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তার এসব কর্মকান্ড নিয়ে গত রবিবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নজরে আসে। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা পাওয়ার পর জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবুজকে তার দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।


জানা গেছে, সরকার দলীয় পদ ব্যবহার করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে সবুজ সরদার। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। তারপরেও উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া গ্রামের ৪ সন্তানের জননী এক নারীর সঙ্গে পরকিয়া করেন তিনি। মাঝে মাঝেই ওই নারীর বাড়িতে এসে দেখা করতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গত শনিবার (৬ জুলাই) সকালে ওই নারীর সঙ্গে ফের দেখা করতে আসলে গ্রামবাসী তাকে ধরে ফেলেন। পরে তাকে চেয়ারে বেঁধে গণধোলাই দেন।


এ ঘটনার ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে এক যুবককে। তার হাত বাঁধা। একজন মুরব্বী তার শার্টের গলার ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এ সময় সবুজকে উপস্থিত সকলের কাছে নিজের পরিচয় তুলে ধরতে শোনা যায়। অপরদিকে ১ মিনিট ২ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মঞ্চে এক নারীর সঙ্গে নাচছেন সবুজ। এ সময় তার হাতে মদের বোতল ছিল। যা নাচের তালে তালে খেতে থাকেন তিনি।


বহিস্কৃত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. সবুজ সরদার বলেন, স্থানীয় বিরোধের জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার সাথে এই আরচণ করা হয়েছে। ভিডিওগুলো সাঁজানো বলেও দাবি করেন তিনি।



#

Post Top Ad

Responsive Ads Here