কাউখালীতে সেতু ভেঙে চলাচলে চরম ভোগান্তি
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমেলে চরম ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত আজও কাটিয়ে উড়তে পারেনি কাউখালীর সাধারণ মানুষ। কাউখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি গাছপালা ও ব্রিজ।
উপজেলার আমরাজুড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমান হাওলাদারের বাড়ির সামনের কাঠালতলা খালের উপর থাকা ব্রিজটি ঘূর্ণিঝড় রিমেলে ভেঙে খালের মাঝে পড়ে যায়। ঝড়ের সময় বিশাল আকৃতির একটি রেন্ট্রি গাছ উপড়ে ব্রিজের উপরে পড়লে ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে খালে পড়ে। যার ফলে ওই খাল দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরে বিকল্প কোনো পথ না থাকায় আমরাজুরি ও সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সঙ্গে কাউখালী উপজেলার সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলা সদর থেকে সন্ধ্যা নদী পার হয়ে বদ্বীপ খ্যাত সয়না ও আমড়াজুড়ি ইউনিয়নে যেতে হয়। উপজেলার সঙ্গে এই ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খেয়া পারাপার। উপজেলার দক্ষিণ বাজার চিরাপাড়া নদীর মোহনা থেকে খেয়ার ট্রলার ছেড়ে গিয়ে কাঁঠালতলা খালের মোহনায় যাত্রীদের নামিয়ে দেয়।
এখান থেকে মানুষ মেকপাল, সোনাকুর, সয়না, রঘুনাথপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াত করে। এই ব্রিজ পার হয়ে এই সব গ্রামসহ যেতে হয় ইজিএস শিক্ষা নিকেতন, রঘুনাথপুর স্কুল, সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ, রঘুনাথপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসা, সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অথচ কাঠালতলা খালের এই জন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ঘূর্ণিঝড় রিমেলের তান্ডবে দেড় মাস আগে শেষ হলেও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আজও লাগব হয়নি। এমনকি খালের ভেতরে ভেঙে পরা ব্রিজ কর্তৃপক্ষ অপসারণ করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যার ফলে স্থলপথ ও পানিপথে চলাচলের সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হয়।
এ ব্যাপারে আমরাজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছেলে ও গন্ধব্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রাসেল বলেন, সাধারণ মানুষের চলাচলের ভোগান্তি দূর করার জন্য চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, সরজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে চলাচলের ভোগান্তি দূর করতে জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।