ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, দায় নেবেনা ইসলামী ব্যাংক - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪

ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, দায় নেবেনা ইসলামী ব্যাংক

 

ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, দায় নেবেনা ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, দায় নেবেনা ইসলামী ব্যাংক

বোয়ালমারী সংবাদদাতা :

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক অনুমোদিত একটি এজেন্ট ব্যাংকে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দায় নেবেনা ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সবরকমের আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে ব্যাংকটি। 


মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় এক আনুষ্ঠানিক  প্রতিক্রিয়ায় এ তথ্য জানিয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিত শেখ। 


সম্প্রতি উপজেলার ভাটদী বাজার ভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকের ঐ আউটলেট শাখার মালিক মোঃ আক্তারুজ্জামান হাসু কর্তৃক গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হবার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন তিনি। 


বোয়ালমারী চৌরাস্তায় ইসলামী ব্যাংক ভবনের নিজ কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে মুহিত শেখ   গণমাধ্যমকে বলেন,আক্তারুজ্জামান অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় অর্ধশতাধীক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেন। যে অর্থ তিনি গ্রাহকদের একাউন্টে না রেখে নিজের ব্যাক্তিগত একাউন্টে রাখেন। ব্যাংক রশিদের পরিবর্তে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেন ইসলামি ব্যাংকে নিজ নামীয় একাউন্টের চেক বইয়ের পাতা। 


এমনকি তাদের নামে একাউন্টই খোলা হয়নি ব্যাংকে। ফলে ঐ টাকা আর ব্যাংকের কোষাগারে জমা হয়নি। সম্প্রতি এজেন্ট ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে ঐ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে জান আউটলেট এজেন্ট আক্তারুজ্জামান। এমন কৌশলে প্রতারণা করা হয়েছে যে,ব্যাংকের সঙ্গে নয় ভুক্তভোগীরা আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে ব্যাক্তিগত লেনদেন করেছেন-এমনটাই প্রমাণ হচ্ছে। এমনকি তাদেরকে ব্যাংকের গ্রাহক হিসাবে গ্রহণ করারই কোন তথ্য-প্রমাণ মিলছেনা। 


অতএব এ পরিপ্রেক্ষিতে খোয়া যাওয়া ঐ টাকার দায়ভার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বহন করতে পারেননা। টাকাটা যদি গ্রাহকের একাউন্ট হয়ে ব্যাংকের কোষাগারে জমা হবার পর সেখান থেকে তসরুপ হতো তাহলে তার দায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারতেননা। ঘটনা যা কিছু ঘটেছে তা ব্যাংকের বাইরে সংঘটিত হয়েছে। ঐ লেনদেনের সঙ্গে ব্যাংকের  সম্পৃক্ততার কোন তথ্য-প্রমাণ নেই। গ্রাহকদের সচেতনতার অভাব আর অন্ধ বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে আক্তারুজ্জামান নিজের ব্যাংক  চেক দিয়ে এই প্রতারণা ও অর্থ লোপাট করেছে। অথচ ভুক্তভোগীরা না বুঝে অহেতুক ঘটনার জন্য ইসলামি ব্যাংককে দায়ী করছে, যেটা অন্যায় ও দূঃখজনক। 


মুহিত শেখ বলেন,বিশ্বাস ভঙ্গ করে ইসলামি ব্যাংকের নাম ভাঙ্গিয়ে  প্রতারণার ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি চেক এর বিপরীতে প্রতারক আক্তাজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রাহককেও আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। 


এ ক্ষেত্রে যে ধরনের  সহযোগিতা প্রয়োজন তা দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে ইসলামি ব্যাংক। আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং কালে বোয়ালমারী পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা সৈয়দ নিয়ামুল হাসান সহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।


Post Top Ad

Responsive Ads Here