মহানবীকে (স:) কটুক্তি করায় হৃদয় পালের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল |
আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (স:) নিয়ে কটুক্তি করায় কলেজ ছাত্র হৃদয় পালের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে তাওহিদি মুসলিম জনতা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী কলেজে সামনে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা। এসময় তারা হৃদয় পালের ফাঁসির দাবী জানান।
এর আগে সোমবার (২৮.১০.২৪) মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (স:) নিয়ে কটুক্তি করার অপরাধে হৃদয় পালকে কাদিরদী কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র জনতা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে অত্রকলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে কলেজ কতৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী, থানার ওসি ও সেনা বাহিনীকে খবর দেয়। ঘটনা স্থলে গিয়ে সেনা বাহিনী হৃদয় পালকে কৌশলে বের করে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কাদিরদী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির। এসময় তিনি বলেন, আমি প্রশাসনকে বলেছি, হৃদয় পালকে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে আজকে তাকে কলেজ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। এ সময় তিনি অত্র কলেজের শিক্ষক মো. মজিবর রহমানকে ইসকন সংগঠনের সদস্য বলে দাবী করেন। তাকেও এই কলেজ থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
কলেজের শিক্ষক মো. মজিবর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। আমি মুসলিম তবে আমাকে হিন্দুদের ইসকোন সংগঠনের ট্যাগ লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর তিব্র নিন্দা জানাই। অন্যান্য শিক্ষকদের মতো ওইদিন আমি উত্তেজিত জনতাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি। যেন কোন প্রকার আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় না ঘটে।
অন্যান্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাদিরদী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রাফিউল আলম মিন্টু, সাতৈর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মান্নাফ মুন্সি, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক জুয়েল শেখ, বিএনপি নেতা ফারুক মোল্লা, আনিস মোল্লা, মুঞ্জুর বিশ্বাসসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ওলামা মাশায়েখ ও স্থানীয় মুসলিম জনতা উপস্থিত ছিলেন।