হাসিনাকে স্বৈরাচার বললেন যুবলীগ সম্পাদক |
আদদমদীঘি বগুড়া প্রতিনিধি:
গণ আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। সেই সাথে আত্মগোপন করে আওয়ামী পন্থী সকল জনপ্রতিনিধিরা। অন্তরবর্তী কালিন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর, সংসদের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করে ।
কিছুকিছু ইউনিয়ন পরিষদেও নিয়োগ করা হয় প্রশাসক। পরে গুঞ্জন ওঠে ইউনিয়ন পরিষদও ভেঙে দিতে পারে সরকার। সারাদেশে প্রায় নব্বই ভাগ চেয়ারম্যানই আওয়ামী পন্থী। এই গুঞ্জন কে সামনে রেখে আওয়ামী পন্থি চেয়ারম্যানদের সংগঠন, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
আর এই কথিত ফোরামের কেন্দ্রিয় আহবায়ক করা হয় বগুড়া জেলা আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান কে। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে আয়োজিত একটি মানববন্ধনের ভিডিও ভাইরাল হয় ফেসবুকে। তাতে দেখা যায় একাধিক নাশকতা মামলার আসামী জিল্লুর রহমান কে বক্তব্য দিতে। বক্তব্যে তিনি সরকার কে ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে নানা পরামর্শ, হুশিয়ারী, বিগত হাসিনা সরকারের সমালোচনা, পাঁচ আগষ্টে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান করেছেন বলে জানান। তার এমন বক্তব্য উপজেলা জুরে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
গনমুক্তি নামের একটি পেজে তার বক্তব্যের কমেন্ট্স এ দেখা য়ায় ফরিদুল নামের একজন লিখেন একজন আসামী কিভাবে জনতার সামনে বক্তব্য দিচ্ছে পনের বছরে সে অনেক জালাইছে। আরেকজন লিখেন গরম ডিমের ভয়ে সুর পাল্টে গেলো কাকু। এছাড়াও বহু কমেন্ট্স এ নেগেটিভ কথা লেখা হয়।
স্থানীয় একটি পত্রিকায় এই সংবাদ পড়ে সানোয়ার নামে একজন পাঠক বলেন পত্রিকায় দেখলাম সে হাসিনাকে স্বৈরাচারী বলেছে। সেতো ছাত্রলীগ যুবলীগ করেছে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলো, সুবিধা নেওয়ার জন্য এখন দল পাল্টাচ্ছে।
আদমদীঘির শ্রমিক নেতা ফরিদুল বলেন ,তার নেতৃত্বে আদমদীঘিতে তিন এবং চার আগষ্টে ছাত্রদের উপর হামলা করা হয়। তার এই বক্তব্যর প্রতিক্রিয়া জানতে আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগের চেষ্ট করা হলে সবার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। জানাগেছে আদমদীঘি সদর ইউনিয়নেও প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।