ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ির বাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ির বাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ির বাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব
ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ির বাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব


জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়ির বাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব । হাতে জাল নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে পানিতে নেমেছেন কয়েক হাজার মানুষ। কেউ ভেলায়, কেউ ছোট নৌকায় করে চলছে মাছ ধরার এক প্রতিযোগিতা। এ যেন মাছ ধরার ধুম চলছে ৷ এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যটি ঠাকুরগাঁও বুড়ির বাঁধ এলাকার । 


১৪ অক্টোবর সোমবার বিকেলে ছেড়ে দেয়া হয় বাঁধের পানি । তখন থেকে শুরু হয়ে জেলেদের আগমন । উৎসবটি চলবে ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনব্যাপী । উৎসবে যোগ দিয়ে অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত সময় পারছেন। এদের মধ্যে নারী,পুরুষ ও শিশু রয়েছে। বাদ যাননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও। 


কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছেন। অনেকে আবার ভিড় জমিয়েছে মাছ ধরা দেখতে। এই মাছ উৎসব ঘিরে বাঁধ এলাকায় বসানো হয়ে বিভিন্ন খাবারের দোকান। 


যানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট (সুইসগেইট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। 


৫০ একর এলাকাজুড়ে সুক নদীর ওপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর এ সময়ই মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।


হরিপুর উপজেলার গেদুড়া থেকে মাছ ধরতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ভোর রাতে মাছ ধরার জন্য এসেছি৷ গতবারে এতক্ষণে ভালো মাছ পেয়েছিলাম। এবারে কারেন্ট জালের ব্যবহার বেশি হবার কারণে মাছ মিলছে না৷ প্রতিবারে বলা হয়ে থেকে কারেন্ট জাল ব্যবহার করা যাবে না৷ অথচ প্রশাসন কোনোভাবে আটকাতে পারছে না। 


উৎসব দেখতে আসা স্কুল শিক্ষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, মাছ কেনার জন্য এসেছি। তবে এবারে মাছের দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এবারে নানা প্রজাতির মাছ ও পাওয়া যাচ্ছে না। 


পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম যাকারিয়া বলেন, বুড়ি বাঁধটি খুলে দেয়ার পরে মাছ ধরার ধুম পড়েছে। নানা প্রজাতির মাছ ধরছেন এ উৎসবে৷ কৃষিতে সেচ দিতে সুবিধা হবার জন্য এ জলকপাট নির্মাণ করা হয়েছে৷ প্রতিবারে গেট খোলা হলে মাছ ধরে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ৷



Post Top Ad

Responsive Ads Here