স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ |
পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুর দিলীপ সর্বন নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে নানাভাবে হুমকি ধামকি ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ ব্লাককমেইল করার অভিযোগ উঠেছে তার প্রাপ্তন স্ত্রী মুক্তা হালদারের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ জুয়েলাস্ সমিতি (বাজুস) এর পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি ও পিরোজপুর পৌর শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ সর্বন অভিযোগে জানান, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা হালদারের সাথে সালিশ ও নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং তাকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাকা পরিশোধ করার পরেও বর্তমানে বিচ্ছেদের কয়েক বছর পরে মুক্তা হালদার আমাকে স্বামী দাবী করে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে, পুলিশে অভিযোগ দিয়ে এবং নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে হয়রানী ও বøাক করে চলছে।
দিলীপ সর্বন আরও জানান, মুক্তা হালদারের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে ২০২১ সালের ৫ মে তাকে (মুক্তা হালদার) হিন্দু ধর্মের রীতি অনুসরণ করে গোপনে বিবাহ করি। পরবর্তীতে বিষয়টি আমার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা জেনে গেলে আমার সংসারে কলহ দেখা দেয়। আমার দ্বিতীয় বিবাহের বিষয়ে আমার প্রথম স্ত্রী শুক্লা সর্বন বিষয়টি পিরোজপুর মহিলা পরিষদে অভিযোগ দেয়। তার (শুক্লা সর্বন) এর অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ আমার পারিবারিক কলহ নিস্পত্তির লক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা হালদারের সাথে আমার (দিলীপ সর্বন) বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত দেয়।
সে মোতাবেক এক সালিশের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা হালদারকে ডিভোর্স দেওয়া এবং মুক্তা হালদারের কোন সন্তান না থাকায় তার ভবিষ্যৎ জীবনের ব্যয়ভার বহনের জন্য এককালীন সাড়ে ৫ লাখ টাকা তাকে (মুক্তা হালদার) দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমি (দিলীপ সর্বন) এবং আমার প্রথম স্ত্রী মুক্তা হালদার দু’জনেরই সম্মতিতে ডিভোর্স প্রদান করা হয়। এ সময় আমি ব্র্যাক ব্যাংকের (চেক নং- ঝঞই ৫৩০২৩৮৮) মাধ্যমে সাড়ে ৫ লাখ মুক্তা হালদারকে পরিশোধ করি।
এসময় ডিভোর্স পেপারে উল্লেখ থাকে যে, ভবিষ্যতে আমি কোন দিন মুক্তা হালদারকে স্ত্রী হিসেবে দাবী করবো না। একইভাবে মুক্তা হালদারও উক্ত ডিভোর্স পেপারে উল্লেখ করে যে, মহিলা পরিষদ এবং আমার (মুক্তা হালদার) বোনের স্বামী প্রশান্ত বিশ্বাসের মধ্যবস্থায় আমার (মুক্তা হালদার) ও দিলীপ সর্বনের মধ্যেকার বিরোধ নিষ্পপ্তি করে দিয়েছেন। নিষ্পত্তির শর্ত অনুসারে আমি মুক্তা হালদার চির দিনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন করিলাম। ভবিষ্যতে আমি (মুক্তা হালদার) কোনদিন দিলীপ সর্বনকে স্বামী হিসেবে দাবী করবো না। সিদ্ধান্ত অনুসারে আমি (মুক্তা হালদার) আমার ভবিষ্যৎ ব্যয়ভার পরিচালনার জন্য দিলীপ সর্বনের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বুঝিয়া পাইলাম।
দিলীপ সর্বন অভিযোগ করেন, বিবাহ বিচ্ছেদের দুই বছর পরে এসে বর্তমানে উক্ত মুক্তা হালদার আমাকে (দিলীপ সর্বন) স্বামী দাবী করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে চলছে। এছাড়া ডিভোর্সের বিষয়টি গোপন রেখে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়াসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে বøাকমেইল করার চেষ্টা করছে। আমার কাছে মোটা অংকের টাকা চেয়ে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে চলছে।
আমি এ বিষয়ে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।